ওয়েব ডেস্ক: দেশে আধুনিক আটটি খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি সাইলোর চুক্তি স্বাক্ষর শেষ হয়েছে, বাকি দুটি টেন্ডার হয়েছে এবং আরও দুটি সাইলোর টেন্ডার দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে বরিশাল সাইলো নির্মাণ ও সারাদেশে খাদ্য অধিদফতরের অফিস ও খাদ্যগুদামগুলো অনলাইন মনিটরিং কার্যক্রমের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বরিশালে নির্মিত এ সাইলোটি চতুর্থ। এরআগে ময়মনসিং, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি সাইলো নির্মাণের চুক্তি হয়েছিল। এছাড়া খুলনা ও নওগাঁর পাশাপাশি দেশের আরও দুটি অঞ্চলে সাইলো নির্মাণের প্রকল্প রয়েছে।
জানা গেছে, আটটি সাইলোর মধ্যে তিনটি গমের জন্য এবং পাঁচটি চাল সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এসব সাইলোয় মোট পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা ছিল। আমাদের পুরাতন গুদামগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে চাল রাখলে দুই-তিন মাসের মধ্যে নষ্ট হয়ে যেত। এ জন্য ২০২৫ সালের মধ্যেই খাদ্য মজুত সক্ষমতা বাড়াতে এসব নির্মাণ শেষ হবে। আর এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তিনটি সাইলো সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের ২০০টি প্যাডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এসব প্যাডি সাইলোতে কৃষকের ধান শুকানোর ব্যবস্থা থাকবে। ফলে কৃষকরা ভেজা ধান সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন।
খাদ্য সচিব বলেন, কৃষকের ধানে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার ফলে আমরা অনেক সময় তাদের ধান কিনতে পারি না। প্যাডি সাইলো হলে সে সমস্যা সমাধান হবে। কৃষকরা ২৪ শতাংশ পর্যন্ত ভেজা ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে সারাদেশে খাদ্য অধিদফতরেরর অফিস ও খাদ্যগুদামগুলো অনলাইন মনিটরিং কার্যক্রমের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।